মোবাইল চাওয়ায় মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবা: পিবিআই

হত্যা
প্রতীকী ছবি

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় কার্টুন দেখতে মোবাইল চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আট বছরের মেয়েসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন তার বাবা। পরে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন তিনি। ১০ মাস আগে এ হত্যাকাণ্ডে ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি ১১ দিনের তদন্তে হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে। শনিবার রংপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায়।

এ ঘটনায় নিহত শিশুটির বাবা নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

পিবিআইয়ের তথ্যমতে, নীলফামারীর সৈয়দপুরের রসুলপুর রেল কোয়ার্টারে পাঁচ–ছয় বছর থেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন নুর মোহাম্মদ। ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল জুমার নামাজ শেষে স্ত্রী ও দুই সন্তান নূপুর (৮) ও আবু সোহানকে (৭) নিয়ে বাড়িতে টিভি দেখছিলেন নূর মোহাম্মদ। দুই সন্তানের ঝগড়ার একপর্যায়ে বড় মেয়ে নূপুর কার্টুন দেখতে বাবার মোবাইলটি বারবার চাইলে তা না দেওয়ায় বাবাকে গালি দেয় মেয়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের মেয়ের গলা চেপে ধরেন নূর মোহাম্মদ। একপর্যায়ে শ্বাসরোধে নূপুর মারা যায়। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় ওই দিন সৈয়দপুর থানা-পুলিশ অপমৃত্যু মামলা করে ও লাশের ময়নাতদন্ত করে।

পরে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় রংপুর পিবিআই। পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেন। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নূর মোহাম্মদকে আটক করেন। নীলফামারীর সৈয়দপুর আমলি আদালত-২ এ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মেয়ে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন তিনি। পরে নূর মোহাম্মদকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, ‘ঘটনার ১০ মাস পর মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলে মাত্র ১১ দিনের মাথায় আমরা মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনে সক্ষম হয়েছি।’