মোবাইলে প্রেম, দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার অভিযোগে মামলা

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ, এরপর প্রেম। সেই সূত্র ধরে তরুণের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনায় করা মামলায় চার তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মায়ের ভাষ্য, মুঠোফোনে আলাপের সূত্র ধরে তাঁর মেয়ের সঙ্গে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার তরুণ মো. বাবুলের (১৯) পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শনিবার বিকেলে মেয়ে খালার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। রাত হয়ে গেলেও না ফেরায় রাত ১০টার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, মেয়ে খালার বাসায় যায়নি। পরে রানীশংকৈল উপজেলা থেকে পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। মেয়ের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, গত শনিবার বিকেলে মেয়েকে সদর উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গী সেতুতে দেখা করতে বলেন ওই তরুণ। এরপর মেয়েকে একটি আমবাগানে নিয়ে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় গতকাল রোববার মেয়েটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর গতকাল রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার আবদুল জলিলের ছেলে মো. বাবুল (১৯) ও খলিলুর রহমানের ছেলে মো. সোহেল (২০), রানীশংকৈল উপজেলার মো. শামসুদ্দিনের ছেলে মো. রমজান (১৯) ও সদর উপজেলার মসলিম উদ্দীনের ছেলে মো. পইদুলকে (২২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, চার তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে আধুনিক সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।