মৌলভীবাজারে ধর্ষণবিরোধী কর্মসূচিতে বাধা, হামলার অভিযোগ

মৌলভীবাজারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ধর্ষণবিরোধী অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই হামলার জন্য ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করেছেন আয়োজকেরা। তবে ছাত্রলীগের দাবি, তাদের কেউ এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব মোড়ে এই ঘটনা ঘটেছে।

কর্মসূচির আয়োজকেরা জানিয়েছেন, হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সংসদের সহসভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী ও দপ্তর সম্পাদক রাজীব সূত্রধর, ছাত্র ইউনিয়ন মৌলভীবাজার জেলা সংসদের শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমেদ, সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রইয়ান ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ সংসদের সাধারণ সম্পাদক শিহাব আহমেদ। তাঁদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আয়োজকদের অভিযোগ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের চৌমোহনা এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ধারাবাহিক ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছিল। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা বাধা দিলে আয়োজকেরা মিছিলসহ প্রেসক্লাব মোড়ে চলে যান। আয়োজকদের অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের কিছু নেতা–কর্মী তাঁদের দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে হুমকি দেন। একপর্যায়ে বিচ্ছিন্নভাবে ছাত্র ফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

এই হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় প্রগতিশীল ছাত্র জোট শহরের চৌমোহনা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ইউনিয়ন মৌলভীবাজার জেলা সংসদের সভাপতি সুবিনয় রায়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা শাখার সভাপতি রেহনুমা রুবাইয়াত প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা আমাদের সাংগঠনিক কোনো প্রোগ্রাম ছিল না। সাধারণ শিক্ষার্থীর উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে আমাদের নেতাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।’

জানতে চাইলে ছাত্রলীগ জেলা কমিটির সভাপতি আমীরুল হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘হামলার কথা শুনেছি। আমি আমার সেক্রেটারির সঙ্গেও আলাপ করেছি। এই হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো নেতা–কর্মী জড়িত না।’ ছাত্রলীগ বুধবার আলোক প্রজ্বালনসহ ধর্ষণবিরোধী কর্মসূচি পালন করেছে উল্লেখ করে আমীরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে যেকোনো সামাজিক, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁরা আছেন।

মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি, চৌমোহনায় তাদের নিজেদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছে। পরে এখানে (প্রেসক্লাব মোড়) আসার পর কারা হামলা করেছে। ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।’