মৌসুমের প্রথম ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার সকালে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল করেনি। হঠাৎ এমন কুয়াশার কারণে নৌপথ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় নৌযান বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। দুর্ভোগের কবলে পড়েন আটকে থাকা যানবাহনের চালক ও যাত্রীসাধারণ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ জানান, আজ রোববার ভোর থেকেই নদীপথে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে দুর্ঘটনা এড়াতে পাটুরিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ সকাল সোয়া ৭টার দিকে ফেরি ছাড়া বন্ধ করে দেয়। এর আগে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে সব কটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাটের কাছে গিয়ে পড়ে। প্রায় ২০ মিনিট পর সাড়ে ৭টার দিকে কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরি ছাড়া বন্ধ করে দেয়। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর সকাল ৯টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে পুনরায় ফেরি চালু হয়।
এ সময় দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে বা মাঝনদীতে কোনো ফেরি আটকা ছিল না। সব কটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নোঙর ছিল। প্রায় দুই ঘণ্টার মতো নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহন পারাপার হতে না পারায় উভয় ঘাটে যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরি হয়। আটকা পড়ে কয়েক শ গাড়ি। দুর্ভোগের শিকার হন গাড়িচালক ও যাত্রীসাধারণ।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করত। এর মধ্যে কয়েক দিন আগে দুটি ফেরি শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফিরিয়ে নেয়। বাকি ১৬টি ফেরির মধ্যে কয়েক দিন ধরে রো রো (বড়) ফেরি আমানত শাহ যান্ত্রিক ত্রুটিতে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রয়েছে। এ ছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে চারটি ঘাট সচল রয়েছে। ফেরি স্বল্পতার কারণেও কিছুটা যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।