লেখক মুশতাক আগেও অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করেছিলেন

চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় নবনির্মিত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় উদ্বোধন শেষে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ছবি: পিআইডি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কারাবন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী সেখানে নবনির্মিত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় উদ্বোধন করেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন।

কারাগারে মুশতাক আহমেদের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠিত হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে লেখকের কথা বললেন, মুশতাক আহমেদ। তিনি আগেও দু-একবার তাঁর লেখনীতে আইনশৃঙ্খলা কিংবা অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করেছিলেন। সে জন্য অনেকেই মামলা করেছিলেন। সম্প্রতি ২০২০ সালে যে মামলাটি হয়েছিল, সেই মামলার জন্য তিনি কাশিমপুর জেলখানায় অন্তরীণ ছিলেন। হঠাৎ করে আমাদের আইজি প্রিজন থেকে আমি যে সংবাদটা পেয়েছি, তিনি হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে কারা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পান। তারপর অবস্থা আরেকটু খারাপের দিকে গেলে গাজীপুর তাজউদ্দীন মেমোরিয়াল হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যুবরণ করেন।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সব মৃত্যুর এগেইনস্টে এনকোয়ারি হয়। একটা অস্বাভাবিক মৃত্যু বলুন বা স্বাভাবিক মৃত্যু বলুন। নানা প্রশ্ন আসে। আমরা সে জন্য যেকোনো মৃত্যুর ঘটনায় কারাগারে হোক বা অ্যাকসিডেন্ট হোক, একটা পোস্টমর্টেম হয়। পোস্টমর্টেমের পর সঠিকভাবে আমরা বলতে পারব কেন এই মৃত্যু হয়েছে। এনকোয়ারি কমিটি প্রয়োজনবোধে করব। কালকে তো হলো, নিশ্চয়ই এটার ব্যবস্থা আমরা করতে পারব।’

আল–জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করার জন্য অনেকে অনেক রকম কাজ করে যাচ্ছে। আল-জাজিরা যে নিউজ দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ তা বিশ্বাস করেনি। এ দেশের মানুষ আল-জাজিরা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সবগুলোই আমরা খতিয়ে দেখব। কেন এই মিথ্যা সংবাদ, কেন এই মিথ্যা নিউজ প্রচার করেছে, তা তদন্ত করে দেখছি। এর সঙ্গে দেশের কেউ জড়িত কি না, তা–ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নবনির্মিত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় উদ্বোধন করেন। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রামের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান ও আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম প্রমুখ।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন