ময়ূরটিকে ঢিল মেরে আহত করে বেঁধে রেখেছিলেন স্থানীয়রা

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বারঘরিয়া এলাকায় স্থানীয় তরুণেরা এই ময়ূরকে আহত করে বেঁধে রাখেন। পরে পুলিশ ময়ূরটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে
প্রথম আলো

গাছের ডালে বসে ছিল বড় আকারের একটি পাখি জাতীয় প্রাণী। বিষয়টি এলাকার কয়েকজন তরুণের নজরে এলে ঢিল ছুড়তে থাকেন তাঁরা। একপর্যায়ে প্রাণীটি আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ধাওয়া করে ধরে ফেলে তরুণের দল। তাঁরা বুঝতে পারেন, প্রাণীটি ময়ূর। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ময়ূর দেখতে ভিড় জমান উৎসুক এলাকাবাসী। পরে তাঁরা ময়ূরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন একজনের বাড়িতে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ময়ূরটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের বারঘরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, বন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, ময়ূরটি গাছের ডাল থেকে পড়ে গেলে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন ২০ থেকে ২৫ জন তরুণ। পরে বারঘরিয়া এলাকার মিজানুর রহমান নামের এক তরুণের বাড়িতে আহত পাখিটিকে বেঁধে রাখেন তাঁরা।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, একটি ময়ূর ধরে বেঁধে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে সেটিকে উদ্ধার করে। ময়ূরটিকে থানায় নেওয়া হয়। আহত হওয়ায় একজন প্রাণী চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে রাতেই বন বিভাগের কাছে মযূরটিকে হস্তান্তর করা হয়।

বোদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুস সোবহান বলেন, ময়ূরটিকে আঘাত করার কারণে বেশ আহত মনে হয়েছে। রাতেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেরে উঠবে বলে তিনি আশাবাদী।

আঘাত করায় ময়ূরটি আহত হয়েছে। পিঠের পাখনাগুলো উঠে গেছে
প্রথম আলো

ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা (বোদা-দেবীগঞ্জ) মধুসূদন বর্মণ আজ শনিবার সকালে বলেন, এই প্রজাতির ময়ূরকে ‘ইন্ডিয়ান পিকক’ বলা হয়ে থাকে। এটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আঘাত করায় ময়ূরটি আহত হয়েছে। পিঠের পাখনাগুলো উঠে গেছে। চিকিৎসা দেওয়ার পর ময়ূরটির অবস্থা কিছুটা ভালো। পাখিটিকে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। প্রায় পাঁচ কেজি ওজনের পাখিটি দেখে প্রাপ্তবয়স্ক মনে হচ্ছে বলে তিনি জানান।