যমুনার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে রাস্তায় মানুষ

ভাঙন রোধে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ থেকে কৈজুড়ী পর্যন্ত সাড়ে ছয় কিলোমিটার অংশে তীর রক্ষার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে

ভাঙনে ভিটে হারিয়ে বাক্‌রুদ্ধ স্থানীয় এক ব্যক্তি। গত সোমবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পাঁচিল গ্রামে
প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হঠাৎই যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত পাঁচ দিনে উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ধর্মীয় উপাসনালয়। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এসব এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

উপজেলার পাচিল গ্রামের শাহজাহান আলী (৬২) বলেন, চারবার তাঁর বাড়ি ভেঙেছে। তাঁরা ত্রাণসহায়তা চান না। ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ চান।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ এর কাছাকাছি ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। এ কারণেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাউবোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভাঙন রোধে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ থেকে কৈজুড়ী পর্যন্ত সাড়ে ছয় কিলোমিটার অংশে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার তীর রক্ষা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়।

কয়েক দিন ধরে ভাঙন দেখা দিয়েছে উপজেলার কৈজুড়ী, জালালপুর, খুকনী ইউনিয়নের পাচিল, হাট পাচিল, পাকরতলা, ব্রাহ্মণগ্রাম, জয়পুরা, আরকান্দি, কুঠিপাড়া ও ভেকা গ্রামে। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘরবাড়ি, আসবাব অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।

ভাঙনকবলিত পাচিল গ্রামের মইতন বেগম (৬৫) বলেন, ‘ঘরবাড়ি ভেঙে সব নদীর মধ্যে যাচ্ছে। কোথায় যাব, কী করব, কিছুই জানি না। বাঁশ-খুঁটি টানতে টানতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।’