কথা বলতে বলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি

লাশ
প্রতীকী ছবি

যশোরে মানসিক ট্রমা ও ভিকটিমকেন্দ্রিক সেবা প্রদানবিষয়ক কর্মশালায় কথা বলতে বলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মমতাজ আলী (৪৫) নামের এক উন্নয়নকর্মী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’–এর আয়োজনে পাচারের শিকার মানুষদের সমাজে পুনর্বাসনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও সহায়তাবিষয়ক কর্মশালায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

মমতাজ আলী মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকায়। রাইটস যশোরের পক্ষে তিনি ওই কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলেন।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের। সাড়ে ১১টার দিকে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। এ পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন।

অনুষ্ঠানে তথ্যচিত্র প্রদর্শনের পর উন্মুক্ত আলোচনা পর্ব শুরু হলে কয়েকজনের বক্তব্যের পর মমতাজ আলী মাইক্রোফোন হাতে নেন। নিজের পরিচয় দিয়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কথা বলা শুরু করেন। কয়েকটি কথা বলার পর হঠাৎ অচেতন হয়ে তিনি সামনের টেবিলের ওপর লুটিয়ে পড়েন। অংশ নেওয়া অন্য ব্যক্তিরা তাঁকে দ্রুত সেবা-শুশ্রূষা দিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানকক্ষে তাঁর মৃত্যুর খবর এলে সবাই শোকাহত হয়ে পড়েন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই অনুষ্ঠান শেষ করে দেওয়া হয়।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সিরাজ উদ্দীন বেলাল বলেন, মানব পাচার আইনে সারা দেশে ৬০০টির বেশি মামলা ঝুলে রয়েছে। এর মধ্যে ৪০০টি মামলার কাগজপত্র সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে, মামলাগুলো ঝুলে থাকার কারণ কী কী। দ্রুত যাতে এসব মামলার নিষ্পত্তি হয়, তার জন্য কাজ করা হচ্ছে।