যশোরে কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেলেন ভারতফেরত ১১৫ জন

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর
ফাইল ছবি

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফেরা ১১৫ জনকে কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন শেষে তাঁরা নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। গত দুই দিনে এসব ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কাল বুধবার আরও ২৩৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

এদিকে আজ মঙ্গলবার বেনাপোল দিয়ে দুটি মরদেহ ও আটজন যাত্রী ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন। একটি মরদেহের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। এ কারণে ওই মরদেহের সঙ্গে থাকা তিনজনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। অন্য মরদেহের সঙ্গে আসা দুজনকে বগুড়ায় কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিন সাধারণ যাত্রীকে বেনাপোল ও যশোর শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

যশোর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এক বাংলাদেশির লাশ নিয়ে স্বজনেরা মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বেনাপোল দিয়ে দেশে ফেরেন। মৃত ওই ব্যক্তি হলেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চররামপুর গ্রামের ইউসুফ গাজী (৩৪)। গত ৩ মে ভারতের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। দুপুরের দিকে লাশটি বেনাপোলে এসে পৌঁছালে লাশের সঙ্গে থাকা তিনজনকে শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। এরপর পুলিশ পাহারায় লাশটি চাঁদপুরে পাঠানো হয়।

গতকাল সোমবার প্রথম দিনে ছয়জন ও দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার ১০৯ জনকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। এর বাইরে যশোরের বিভিন্ন হোটেলে বর্তমানে ৯৩৮ জন কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

যশোর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান বলেন, ভারত থেকে দুটি লাশসহ ১০ জন দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে একটি লাশের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় লাশের সঙ্গে থাকা তিনজনকে ছাড়া হয়নি। সংক্রমণ এড়াতে তাঁদের হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য লাশের সঙ্গে থাকা দুজনকে তাঁদের নিজের জেলা বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাঁরা সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

এদিকে এর আগে ভারত থেকে দেশে ফিরে যাঁরা কোয়ারেন্টিনে ছিলেন, তাঁদের মধ্য থেকে অনেকের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষ হতে শুরু করেছে। গতকাল সোমবার প্রথম দিনে ছয়জন ও দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার ১০৯ জনকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। এর বাইরে যশোরের বিভিন্ন হোটেলে বর্তমানে ৯৩৮ জন কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কাল বুধবার আরও ২৩৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। যাঁদের ১৪ দিন পূর্ণ হচ্ছে, তাঁদের সবাইকেই ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

যশোর ছাড়াও নড়াইলে ১২১ জন, খুলনায় ৫২৩, ঝিনাইদহে ১৫৩, সাতক্ষীরায় ৩৩০, মাগুরায় ১০১ এবং বাগেরহাটে ২৫ জন ভারতফেরত যাত্রী কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।