যশোরে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, কর্মীদের রোষানলে নেতারা

কুপিয়ে আহত

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নূর ইসলাম রুবেলকে (২৬) কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে যশোর শহরের জিলা স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাতে হাসপাতালে নূর ইসলামকে দেখতে গিয়ে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক, ছাত্রদলের জেলা সভাপতি রাজেদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপী উত্তেজিত কর্মীদের রোষানলে পড়েন। সেখান থেকে আনছারুল হক ও রাজেদুর রহমানকে পুলিশ নিরাপদে সরিয়ে নেয়।

আহত ছাত্রদল নেতা নূর ইসলাম যশোর শহরের ষষ্টিতলাপাড়ার নওশের আলীর ছেলে এবং এমএম কলেজের স্নাতকোত্তরের ছাত্র।

দলীয় নেতা-কর্মী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত নয়টার দিকে নূর ইসলামসহ কয়েকজন যশোর জিলা স্কুলের মাঠে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তিনজন সেখানে গিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে সহযোগীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনা শুনে জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা হাসপাতালে তাঁর খোঁজখবর নিতে গেলে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তাঁদের ওপর চড়াও হয়। তখন পুলিশ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজেদুরকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পী বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতা নূর ইসলামের ওপর হামলা হওয়ার পর আমরা তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যাই। সেখানে কিছুটা উত্তেজনা ছিল। এ সময় সেখান থেকে পুলিশ যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাকে হেফাজতে নিয়ে যায়। রাতেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, রাতে নূর ইসলামের ওপর কে বা কারা হামলা করেছে, সেটা স্পষ্ট হয়নি। নূর ইসলাম কথা বলতে পারছেন না। তবে সামগ্রিক বিষয়ে তদন্তের জন্য আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

এদিকে ছাত্রদলসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও কর্মসূচি পালন নিয়ে এমএম কলেজ ছাত্রদল নেতা নূর ইসলামের সঙ্গে সিটি কলেজ ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমানের বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জেরে গতকাল রাতে নূর ইসলামের ওপর হামলা চালানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের নেতা নূর ইসলামের ওপর কে বা কারা হামলা করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হামলার পর জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা হাসপাতালে তাঁকে দেখলে গেলে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তখন নেতাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।