মন্ত্রণালয়ের কমিটির ২৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ১৩ আগস্ট তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে নিহত কিশোর পারভেজ হাসানের বাবা বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র
প্রথম আলো ফাইল ছবি

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালক) তিন কিশোর হত্যার ঘটনায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি ২৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ই-মেইল করে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়।

ওই প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডের কারণ, এর জন্য দায়ী কারা এবং পরের ব্যবস্থাপনা পর্যাপ্ত ছিল কিনা—এমন তিনটি বিষয় উঠে এসেছে। কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার জন্য ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮টি পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছ বলেন, ‘২৭ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে দিয়েছি। এতে ৮টি পর্যবেক্ষণ ও ১০টি সুপারিশ আছে। ওই ঘটনায় কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দায়-দায়িত্ব, ঘটনার কারণ ও ঘটনা পরবর্তী গৃহীত পদক্ষেপ যথাযথ ছিল কিনা; এসব উল্লেখ করা হয়েছে।’

১৪ আগস্ট যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী ও সমাজসেবা অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক অসীত কুমার সাহা।

অপরদিকে সমাজসেবা অধিদপ্তর গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির বিষয় ওঠে এসেছে।

১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় আরও ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে নিহত কিশোর পারভেজ হাসানের বাবা রোকা মিয়া বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া সংশোধনের জন্য কেন্দ্রে থাকা আরও আট কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।