যশোরে নিরুত্তাপ পরিবেশে পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ

সকাল থেকেই কেন্দ্রে উপস্থিতি কম ছিল ভোটারদের। আজ বুধবার দুপুরের দিকে যশোর পৌর এলাকার মাহমুদুর রহমান বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে
প্রথম আলো

যশোর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী মারুফুল ইসলাম মাঠে না থাকলেও ব্যালট পেপারে ধানের শিষ প্রতীক রয়েছে। ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য প্রার্থীদের কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। ভোট নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।

আজ বুধবার সকাল আটটায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে যশোর পৌরসভার ৫৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকে অন্তত ১০টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সব কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্ট থাকলেও ধানের শিষ প্রতীকের কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। ভোটারদের উপস্থিতিও অনেক কম।

শহরের এম এন খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহমুদুর রহমান বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সেবা সংঘ ঘোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহিলা সমাজ কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সেবা সংঘ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে। প্রতি কেন্দ্রেই পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে নিরাপত্তার দায়িত্বে দেখা যায়। কেন্দ্রগুলোয় ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। দুপুর পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

পৌরসভার ৫৫টি কেন্দ্রে ৪৭৯টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের তিন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। বিএনপির প্রার্থী মারুফুল আগেই ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার মোট ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯২ জন। পৌরসভায় এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ভোটাররা জানান, কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে তাঁরা ভোট দিতে পেরেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সন্তোষজনক বলে জানান তাঁরা। মহিলা সমাজ কল্যাণ সংস্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রিপন কাজী বলেন, তিনি এর আগে চারবার ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারই প্রথম কেন্দ্রে কোনো ধরনের ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে।