যশোরে যাত্রীবাহী বাস উল্টে কিশোর নিহত, পাঁচজন গুরুতর আহত

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

যশোর সদর উপজেলায় আজ শনিবার যাত্রীবাহী বাস উল্টে এক কিশোর নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ যাত্রী। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুপুরে হুদোরাজাপুর এলাকায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোরের নাম শাহিন (১৭)। সে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বসতপুর গ্রামের সরাফাত মোল্যার ছেলে। তার লাশ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আহত ব্যক্তিদেরও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শাহিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওই কিশোর পথেই মারা গেছে। অন্যদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এনাম উদ্দিন, চিকিৎসক, যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আজ দুপুরে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি মাগুরা থেকে যশোর যাচ্ছিল। বেলা আড়াইটার দিকে বাসটি হুদোরাজাপুর এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়িকে জায়গা দিতে গিয়ে বাসটি মহাসড়ক থেকে নিচে নেমে যায়। এরপর চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি উল্টে যায়। পাশ দিয়ে বাইসাইকেলে করে মাদ্রাসার পাঁচজন শিক্ষার্থী সদর উপজেলার জগমহনপুর গ্রামে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। বাসটি তাঁদের শরীরের ওপর পড়ে। এতে ওই পাঁচজনসহ ২০ জন যাত্রী আহত হন। আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জনকে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শাহিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এনাম উদ্দিন বলেন, ওই কিশোর পথেই মারা গেছে। অন্যদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।