যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে আসা ৯৯ জন কোয়ারেন্টিনে

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (স্ট্রেইন) সংক্রমণের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দেশটির সঙ্গে ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। ১ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যফেরতদের নিজ খরচে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর থেকে যুক্তরাজ্য থেকে ৪ দফায় সিলেটে ১৪৪ জন যাত্রী আসেন। তাঁদের সবাইকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

১৩ জানুয়ারি থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের নতুন নিয়মে কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। নতুন নিয়মে যুক্তরাজ্যফেরত ব্যক্তিদের চার দিন করে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার পর তাঁদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করানো হবে। পরে প্রতিবেদন নেগেটিভ এলে নিজ নিজ বাড়িতে আরও ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়ে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন শেষ করা হবে। করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে সরকার–নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন থেকে আইসোলেশনে প্রেরণ করা হবে। এর সব খরচ যুক্তরাজ্যফেরত ব্যক্তিদের বহন করতে হবে।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর ১২টার দিকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট ১৩১ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি থেকে ৯৯ যাত্রী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। বিমানের ফ্লাইটটিতে থাকা বাকি ৩২ যাত্রী বেলা ১টার দিকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানন্দর থেকে শহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, আজ যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের নতুন নিয়মে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে দুপুরেই প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত হোটেলগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাফিজ আহমদ বলেন, যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে প্রশাসনের সহযোগিতায় বিমানবন্দর থেকে নির্দিষ্ট পরিবহনে করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার একটি করে ফ্লাইট যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। অন্যদিকে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।