যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে এলেন আরও ১৪৪ জন, সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে

লন্ডন থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত বৃহস্পতিবার ১৬৫ জন যাত্রী নামিয়েছে বাংলাদেশ বিমানের এই ফ্লাইট
ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে আসা ১৪৪ জন যাত্রীকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক দল। আজ সোমবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে তাঁরা যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে ১৬৫ জন যাত্রী সিলেটে এসেছিলেন। তাঁদেরও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। চলতি মাসে (সোমবার পর্যন্ত) যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে এসেছেন ১ হাজার ১৬৪ জন।

করোনার নতুন ধরন (স্ট্রেইন) শনাক্ত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। তবে আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে লন্ডন থেকে যাঁরাই আসবেন, তাঁদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ১৬৭ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় ফ্লাইটে থাকা ১৪৪ জন যাত্রী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। পরে বিমানের অন্য যাত্রীদের নিয়ে বেলা সোয়া একটার দিকে সিলেট থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ বিমানের দুটি ফ্লাইট যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট অবতরণ করে। এ ছাড়া প্রতি বুধবার একটি ফ্লাইট সিলেট থেকে যুক্তরাজ্যে যায়।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটে আসা সব যাত্রীর করোনা নেগেটিভ সনদ ছিল। বিমানবন্দরে থাকা মেডিকেল টিম সেগুলো পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি যাত্রীদের শারীরিক তাপমাত্রা মেপেছে। পরে তাঁদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিমানে করোনার নেগিটিভ সনদ ছাড়া কারও ভ্রমণের সুযোগ নেই। ফলে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া কারোরই দেশে আসার সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন