যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে এলেন আরও ১৫২ জন

যুক্তরাজ‌্য থেকে আসা যাত্রীদের প্রশাসনের ব‌্যবস্থাপনায় বাধ‌্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে নে‌ওয়া হচ্ছে। সিলেট ওসমানী আন্তর্জা‌তিক বিমানবন্দরে
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (স্ট্রেইন) সংক্রমণের কারণে যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে আসা আরও ১৫২ জনকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাঁরা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

সরকারের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, তাঁদের হোটেলে চার দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। পরে তাঁদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর ফল নেগেটিভ এলে নিজ বাড়িতে আরও ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ফল পজেটিভ এলে সরকার নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারে তাঁদের ভর্তি করা হবে।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট ১৮০ যাত্রী নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি থেকে ১৫২ যাত্রী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। বিমানের ফ্লাইটটিতে থাকা বাকি ২৮ যাত্রী সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানন্দর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (স্ট্রেইন) সংক্রমণের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভ্রমণনিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে বাংলাদেশ ভ্রমণনিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। ১ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যফেরত ব্যক্তিদের নিজ খরচে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর যুক্তরাজ্য থেকে ৫ দফায় সিলেটে ২৪৩ যাত্রী আসেন। তাঁদের মধ্যে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন ও করোনা পরীক্ষা শেষে ১৪৪ যাত্রী নিজ গন্তব্যে ফিরেছেন। পরে ১৩ জানুয়ারি থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের নতুন নিয়মে কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের নতুন নিয়মে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে দুপুরেই প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত হোটেলগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে নুতন নির্দেশনা মোতাবেক বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন শেষে করোনা পরীক্ষার পর ‘নেগেটিভ’ ফল এলে তাঁদের নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনের জন্য পাঠানো হবে।