যুবলীগের নেতাকে কোপানোর মামলায় আরেক নেতাকে গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলামকে (৪০) কোপানোর ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার প্রযুক্তির সহায়তায় সদর উপজেলার চৌমোহনা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি হলেন কামরুল হাসান বখস (৪০)। তিনি উপজেলা যুবলীগের অব্যাহতি পাওয়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাড়ি পূর্ব মনসুর এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রযুক্তির সহায়তায় আজ বিকেল চারটার দিকে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সদর উপজেলার চৌমোহনা এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে কামরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সোমবার একই মামলার আসামি পূর্ব মনসুর এলাকার আবদুল মনাফকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়।

কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে কামরুলকে কাল বুধবার আদালতে পাঠানো হবে। আর মনাফকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

হামলার ঘটনায় কামরুলসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন ময়নুলের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, ১৬ জানুয়ারি কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা না করা নিয়ে ময়নুল ও কামরুলের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে পরদিন রোববার বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের উছলাপাড়া এলাকায় কামরুলের নেতৃত্বে ময়নুলদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়।

হামলাকারীরা প্রায় ১৫ লাখ টাকা লুট করে। এতে বাধা দিলে হামলাকারীরা ময়নুলকে ধাওয়া করেন। পাশের দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে ময়নুলের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তাঁর শরীরের আটটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপ লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হামলার ঘটনায় কামরুলসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন ময়নুলের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম। এজাহারে বলা হয়, কামরুল মেয়র নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজাহান মিয়ার পক্ষে ছিলেন। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে ময়নুলের বিরোধের সৃষ্টি হয়।

ওই ঘটনার পর সংগঠনের শৃঙ্খলা লঙ্ঘন ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার অভিযোগ তুলে জেলা যুবলীগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কামরুলকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়। হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল পৌর শহরে ব্যবসায়ী সমিতি মানববন্ধন ও উপজেলা যুবলীগ বিক্ষোভ মিছিল করে।