যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর চুল কেটে দিলেন স্বামী

নারী নির্যাতন
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর মাথার চুল তাঁর স্বামী কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুল কেটে দিয়েই ক্ষান্ত হননি স্বামী। যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন এবং দুই বছরের সন্তানকে কেড়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় আজ রোববার স্বামীর বিরুদ্ধে পার্বতীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই গৃহবধূ।

নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম সুরমা আক্তার। তিনি পার্বতীপুরের রামপুর ইউনিয়নের শিমুলিয়া পাড়া গ্রামের মো. রুহুল আমিনের (২৬) স্ত্রী। সুরমার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রুহুল আমিনকে আজ রোববার আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার পরদিন রোববার বিকেলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত রুহুল আমিনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন পার্বতীপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা।

সুরমার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের শিমুলিয়া পাড়া গ্রামের মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয় রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার রামকৃষ্ণপুর মাশান ডোবা গ্রামের আজিবর রহমানের মেয়ে সুরমা আক্তার স্মৃতির। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য সুরমাকে নির্যাতন শুরু করেন রুহুল আমিন।

লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত শনিবার রুহুল আমিন তাঁর স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা আনতে বলেন। কিন্তু সুরমা টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিনসহ পরিবারের সদস্যরা তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করে তাঁর মাথার চুল কেটে দেন। এরপর সুরমা জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমাম জাফর বলেন, ভুক্তভোগী সুরমা আক্তার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিলেন। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্বামীর বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার করে তাঁর মায়ের হেফাজতে দিয়েছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।