যৌন হয়রানির প্রতিবাদে অধ্যাপকের সংবাদ সম্মেলন

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. শাহজাহান। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে
ছবি: প্রথম আলো

গৃহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) মো. শাহজাহান। সাবেক গৃহকর্মীকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন তিনি।

অধ্যাপক মো. শাহজাহান বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তিনি প্রতিবাদ জানান। এতে মো. শাহজাহান বলেন, তিনি সব সময় অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন এবং প্রতিবাদ করেছেন। এর জেরে একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুবের কাছে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দেন মো. শাহজাহানের সাবেক গৃহকর্মী। এতে গৃহকর্মী দাবি করেন, মো. শাহজাহান একাধিকবার তাঁকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করেছেন। তবে অভিযোগকারী গৃহকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট কেউ না হওয়ায় উপাচার্য অভিযোগটি গ্রহণ করেননি।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে মো. শাহজাহান বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরোধিতা করেছেন। বর্তমান উপাচার্যকেও প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিতে অবদান রাখছেন। তাঁর রুটিন দায়িত্ব পালনের সময়ও সেই সাবেক উপাচার্যের কিছু সুবিধাবাদী চক্র অবৈধ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এর জেরে ওই চক্র ঈর্ষান্বিত হয়ে গৃহকর্মীকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।

মো. শাহজাহান আরও বলেন, এভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন অব্যাহত থাকলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা তাঁদের কাজের পরিবেশ হারাবেন। তাই তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও যেই দোষী হোক, তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মো. শাহজাহানের স্ত্রী ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হালিমা খাতুন। অভিযোগের বিষয়ে হালিমা খাতুন বলেন, অভিযোগকারী গৃহকর্মী সব সময় তাঁদের দুই মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। তাই তিনি (গৃহকর্মী) যে দাবি করেছেন, তেমন কিছু ঘটা সম্ভব নয়।