রংপুরে দুই কার্যদিবসে ধর্ষণ মামলার রায়

প্রতীকী ছবি

দুই কার্য দিবসে ধর্ষণ মামলার রায় দিয়েছেন রংপুরের একটি আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান এ রায় দেন।

গতকাল সোমবার পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও আজ মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক শেষে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মাকজিয়া হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বিশ্বনাথ গ্রামের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজার রহমান (৩৬) তাঁর এক নিকটাত্মীয়কে (২৬) কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু ওই নারী রাজি না হওয়ায় উত্ত্যক্ত করতেন। ওই নারী ২০১৯ সালের মে মাসে অন্যত্র বিয়ে করেন। কিন্তু মোস্তাফিজার ওই নারীর স্বামীকে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ থাকার কথা বললে তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এই সুযোগে মোস্তাফিজার তাঁকে আবার কুপ্রস্তাব দেন। পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর মোস্তাফিজারের স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে যান। এরপর গত বছরের ২৮ অক্টোবর মোস্তাফিজার ওই নারীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে উঠেন।

বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারী মোস্তাফিজারকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু মোস্তাফিজার রাজি না হওয়ায় চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি কাউনিয়া থানায় এজাহার দায়ের করতে যান। থানা এজাহার গ্রহণ না করায় ৮ জানুয়ারি মোস্তাফিজারকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই নারী। মামলাটি তদন্তের জন্য রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন আদালত।

গত ২ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠনের পর গতকাল সোমবার পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক শেষে দুই কার্যদিবসের মধ্যে এর রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে আসামি মোস্তাফিজার রহমানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মাকজিয়া হাসান ও আসামিপক্ষের আইনজীবী রইচ উদ্দিন বাদশা।

মাকজিয়া হাসান বলেন, ‘যথাযথভাবে সাক্ষী–প্রমাণ উপস্থিত করতে না পারায় বিচারক আসামিকে খালাস দিয়েছেন। তবে যেখানে বছরের পর বছর এ ধরনের মামলা ঝুলে থাকে, সেখানে দুই কার্যদিবসে রায় দেওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।’

রইচ উদ্দিন বাদশা বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক আসামিকে খালাস দিয়েছেন। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। দুই কার্যদিবসে রায় এবং আসামিকে খালাস দেওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।’