রংপুরে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ: এএসআই রাহেনুলকে রিমান্ডে চায় পিবিআই

কারাগারে পাঠানো হচ্ছে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার এএসআই রায়হানুল ইসলামকে (হেলমেট পরা)। বৃহস্পতিবার রংপুর আদালত চত্বরে
প্রথম আলো

রংপুর নগরের হারাগাছে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজুকে (৩৫) রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় এএসআই রাহেনুলকে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানীর আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। বিচারক আগামী ৪ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। এরপর রাহেনুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, ওই ছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে রংপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুর বিরুদ্ধে গত রোববার রাতে রংপুর মহানগরের হারাগাছ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়। রায়হানুলকে রোববার রাতেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ মামলায় এএসআই রায়হানুল বাদে অন্য চার আসামি হলেন যে বাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, ওই বাড়ির ভাড়াটে দুই নারী, লালমনিরহাট সদর এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৪২) ও বাবুল হোসেন (৪০)। এ মামলার এএসআইসহ পাঁচজন আসামি এখন রংপুর কারাগারে।

বুধবার ভুক্তভোগী মেয়েটি জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ২২ ধারায় দেওয়া ঘটনার বর্ণনায় পুলিশের এএসআইসহ তিনজনের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ২৩ অক্টোবর প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এএসআই রাহেনুল তাঁর পূর্বপরিচিত রংপুর নগরের হারাগাছে ভাড়াটের বাড়িতে নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে ওই স্কুলছাত্রী রাহেনুলের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলে তার মা বকাবকি করেন। এ কারণে মেয়েটি অভিমান করে ওই দিন রাতে রাহেনুলের পরিচিত ভাড়াটের কাছে আশ্রয় নেয়। সেখানে অবস্থানকালে পরের দিন রাতে অচেনা দুই পুরুষ ভাড়াটের সহয়তায় স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

আরও পড়ুন