রক্ত দিলে পুলিশ সদস্যরা পাবেন এক দিনের বিশ্রাম

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এসএমপির সদর দপ্তরে
প্রথম আলো

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস শাখা একটি ব্লাডব্যাংক করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে যেসব পুলিশ সদস্য স্বেচ্ছায় রক্ত দেবেন, তাঁরা পাবেন এক দিনের বিশ্রাম (রেস্ট)।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগর পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ এই ঘোষণা দেন।

নগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাসিক কল্যাণ সভায় মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস শাখায় কর্মরত পুলিশের নায়েক সফি আহমেদের প্রস্তাব অনুযায়ী মানবিক কাজের জন্য এসএমপি ব্লাডব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এই ব্ল্যাডব্যাংকে পুলিশ সদস্যদের যাঁরা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করবেন, তাঁদের জন্য এক দিনের বিশ্রামসহ যা যা প্রয়োজন, সব ব্যবস্থা করা হবে।

পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, পুলিশ সদস্যদের সব সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে হবে। ভালো কাজের জন্য যেমন পুরস্কার দেওয়া হবে, তেমনই কোনো পুলিশ সদস্য খারাপ কাজ করলে তাঁকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে।

মাসিক কল্যাণ সভার পর দুপুর সাড়ে ১২টায় এসএমপির সদর দপ্তরের সভাকক্ষে মাসিক অপরাধ সভাও হয়। পুলিশ কমিশনারের সভাপতিত্বে সভায় এসএমপির উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ, উপকমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) তোফায়েল আহমদ, উপকমিশনার (উত্তর) আজহার আলী শেখ, উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. সোহেল রেজা, উপকমিশনার (ডিবি) সঞ্জয় সরকার, উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. জাবেদুর রহমান, উপকমিশনার (সিটিএসবি) ইমাম মুহাম্মদ শাদীদ বক্তৃতা করেন।

সভায় প্রতিনিধি হিসেবে র‌্যাব ৯, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), হাইওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, রেলওয়ে থানা-পুলিশের প্রতিনিধিসহ মহানগরের ছয়টি থানার সহকারী কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তদন্তাধীন মামলার দ্রুত তদন্ত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ। নগরীর ছয়টি থানাভুক্ত এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখা, যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তৎপর থাকা ও পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর পাশাপাশি মানবিক কাজে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার।