রক্ষা পেলেন না রিকশাচালকও

প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এক রিকশাচালকের কাছ থেকে টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে একদল ছিনতাইকারী। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় শেরপুর শহরের থানা রোডের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

ওই রিকশাচালকের নাম সাইদুর রহমান। তিনি শেরপুর উপজেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক। তাঁর বাড়ি উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের মামুরশাহী গ্রামে। ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক দুইজন হলেন শেরপুর শহরের উলিপুর এলাকার আবু জাফর (২৬) ও বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ মধ্যপাড়া গ্রামের মশিউর রহমান ওরফে মিলন (২৪)।

রিকশাচালক সাইদুর রহমান বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে একজন যাত্রী নিয়ে তিনি শেরপুর উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাশে দুগ্ধ খামার এলাকায় যান। সেখানে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে তিনি খালি রিকশা নিয়ে শহরের ধুনট রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফিরছিলেন। পথে শহরের থানা রোড অতিক্রম করার সময় তিনজন ছিনতাইকারী ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর রিকশার গতি রোধ করে। এ সময় দুজন ছিনতাইকারী তাঁর কাছ থেকে ৯০০ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ওই রিকশাচালকের নাম সাইদুর রহমান। তিনি শেরপুর উপজেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক। তাঁর বাড়ি উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের মামুরশাহী গ্রামে।

বুধবার রাতে শেরপুর শহরে টহলের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী উপপরিদর্শক আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, রিকশাচালক সাইদুর রহমানের কাছ থেকে টাকা ও মুঠোফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে শেরপুর পৌর শহরের উলিপুর এলাকায় আবু জাফরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকেসহ মশিউর রহমানকে আটক করা হয়।এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ধারাল ছোরা তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁকেও আটকের চেষ্টা চলছে।

উপজেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কারিমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত সপ্তাহেও উপজেলার নন্দীগ্রাম সড়কে তাঁদের একজন রিকশাচালককে মারধর করে রিকশা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতে আবার রিকশাচালক সাইদুর রহমানের কাছ থেকে টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। তাঁরা তাঁদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।