রাউজানে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৪

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাউজানে বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে
প্রথম আলো

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাউজানে বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা অটোরিকশার আরোহী ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার ভোরে পুলিশ তাঁদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি সড়কের মাঝখানে উল্টে পড়ে। আর অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার পর সড়কটিতে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও অটোরিকশাটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ জানায়, ট্রাকটি চট্টগ্রাম নগরের দিকে এবং অটোরিকশাটি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন অটোরিকশার চালক ও বাকি তিনজন অটোরিকশার যাত্রী। ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশার চালক রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কর্ণফুলী পেপার মিল এলাকার আবুল কালামের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৭), যাত্রী নোয়াখালীর হাতিয়ার লেদু মাঝির ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৩), চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও মোহরা এলাকার শাহ আলমের ছেলে মুহাম্মদ মোরশেদ (৩৮) ও রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর এলাকার লাল মিয়ার ছেলে মুহাম্মদ ইদ্রিস (৫৫)।

রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন শামীম আজ প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাকচালক ঘুমচোখে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে তাঁর ধারণা। ট্রাকের সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান চলছিল। পুলিশ গিয়ে গান বন্ধ করেন। এ ঘটনায় মামলা হবে বলে জানান তিনি।

পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন বলেন, গভীর রাতে খবর পেয়ে তিনি স্থানীয় লোকজন নিয়ে এসে উদ্ধারকাজে অংশ নেন। চালকদের অসতর্কতা ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।