রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি আবার বিপৎসীমার ওপরে


রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি আবার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চার-পাঁচ দিন ধরে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে আবার জনদুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।


সেনগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ও গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ীর তিনটি পয়েন্টে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পরিমাপ করা হয়। এগুলো হলো রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রাম, সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর ও গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া। প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে পানি বৃদ্ধির পরিমাণ পরিমাপ করা হয়। এর মধ্যে সেনগ্রাম পয়েন্টে সমতল ভূমি থেকে বিপৎসীমা হলো ১০ দশমিক ৯৭ মিটার, মহেন্দ্রপুরে ৯ দশমিক ৭৫ মিটার ও দৌলতদিয়ায় ৮ দশমিক ৬৫ মিটার।

আজ শনিবার সকালে সেনগ্রামে পদ্মার পানি ১১ দশমিক ৩০ মিটার, মহেন্দ্রপুরে ৯ দশমিক ৫১ মিটার ও দৌলতদিয়ায় ৮ দশমিক ৯৬ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দা আইনজীবী অনুপ কুমার দাস বলেন, কয়েক দিন ধরে পানি আবার বাড়ছে। গোদার বাজার এলাকায় দেখলাম, পদ্মা আবার উত্তাল হচ্ছে। পানি বাড়া বা বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। মানুষ এমনিতেই করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে কষ্টে আছে। এরপর একবার বন্যার ধকল গেছে। পানি নেমে যাওয়ার পর আবার বন্যা হলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, কয়েক দিন ধরে নিম্নচাপ হচ্ছে। এতে করে চার-পাঁচ দিন ধরে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। আরও দু–এক দিন পানি বাড়া অব্যাহত থাকবে। এরপর পানি কমতে শুরু করবে বলে আশা করা যায়।
আগামী মাস থেকে ভাঙনের আশঙ্কা প্রকাশ করে সফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, এখনো কোথাও গুরুতর ভাঙন শুরু হয়নি। আগামী মাস থেকে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। গত বছর অক্টোবরে ভাঙন শুরু হয়েছিল।