রাজশাহী নগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু

ফিতা কেটে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আরএমপি সদর দপ্তরে।
প্রথম আলো

রাজশাহীতে সাইবার অপরাধ বেশি হচ্ছে, অথচ এখানে পুলিশের কোনো সাইবার ক্রাইম ইউনিট ছিল না। নতুন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের পরিচিতিমূলক সভায় সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যে রাজশাহীতে যাত্রা শুরু হলো সাইবার ক্রাইম ইউনিটের। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ কমিশনার এই ইউনিটের উদ্বোধন করেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, মহানগরে যাতে কোনো ধরনের সাইবার ক্রাইম সংঘটিত হতে না পারে, সে জন্য কাজ করবে এই ইউনিট। এ ছাড়া কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করতেও কাজ করবে এই ইউনিট। বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ নিয়ে কাজ করবে সাইবার ক্রাইম ইউনিট। থানায় মামলা হলেও অপরাধী শনাক্তকরণে কাজ করবে সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

রাজশাহী সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে এখানে মাদক সেবনের প্রবণতা একটু বেশি রয়েছে। অনেক মাদকাসক্ত সন্তানের মা-বাবা তাঁর কাছে আসছেন। তিনি ইতিমধ্যেই মহানগর এলাকায় মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন।
আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার

পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, সারা দেশে শিক্ষানগরী হিসেবে রাজশাহীর বেশ পরিচিতি রয়েছে, কিন্তু এখানে সাইবার অপরাধ বেশি সংঘটিত হয়। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরাধের প্রবণতা রাজশাহীতে বেশি পরিমাণে হওয়ার কারণে সাংবাদিকেরা প্রথম দিনেই একটি সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠনের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাঁদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই ইউনিট চালু করলেন। এ কাজে অতীত অভিজ্ঞতা থাকার কারণে অল্প সময়ে মধ্যেই তিনি সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু করতে সক্ষম হয়েছেন।

পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, আরএমপির সহকারী কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরী ঢাকা থেকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। নগরে বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার এ এফ এম আনজুমান কালামের তত্ত্বাবধানে এই ইউনিটপ্রধান হিসেবে কাজ করবেন উৎপল কুমার চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, রাজশাহী সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে এখানে মাদক সেবনের প্রবণতা একটু বেশি রয়েছে। অনেক মাদকাসক্ত সন্তানের মা-বাবা তাঁর কাছে আসছেন। তিনি ইতিমধ্যেই মহানগর এলাকায় মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এ সবকিছু তিনি করছেন, যাতে এই নগরে এসে ছেলেমেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে।

বৃহস্পতিবার আরএমপি সদর দপ্তরের চারতলায় একটি কক্ষে ফিতা কেটে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, সালমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।