রাজশাহী বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ৬৪৫ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

রাজশাহী বিভাগে গতকাল বুধবার সকাল আটটা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ২৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আরটি-পিসিআর, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট—এই তিন পদ্ধতিতে এসব নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে করোনায় মারা গেছেন ১১ জন।

এ নিয়ে বিভাগে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫ হাজার ৭১। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯৮। আজ রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সহকারী পরিচালক নাজমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ৪ হাজার ১২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ১৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।

রাজশাহী বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন গত বছরের ১২ এপ্রিল। এরপর গত বছরের ২৯ জুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়ায়। এভাবে ২০ জুলাই ১০ হাজার, ৪ আগস্ট ১৫ হাজার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০ হাজার, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ২৫ হাজার, ১৯ এপ্রিল ৩০ হাজার, ঈদের পর ১৫ মে ৩২ হাজার, ৩০ মে ৩৫ হাজার, ৯ জুন ৪০ হাজার, সবশেষ আজ শনাক্ত রোগী ৪৫ হাজার ছাড়াল। এর মধ্যে চলতি জুন মাসের প্রথম ১৭ দিনেই শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার রোগী।

এ নিয়ে বিভাগে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫ হাজার ৭১। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯৮।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে রাজশাহী ও বগুড়ায় রয়েছেন ৩ জন করে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় রয়েছেন ২ জন করে এবং জয়পুরহাটে ১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯৮। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বগুড়া জেলায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৭ জন মারা গেছেন রাজশাহীতে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮৫ জন, নওগাঁয় ৫৮ জন, নাটোরে ৩৯ জন, জয়পুরহাটে ১৬ জন, সিরাজগঞ্জে ২৭ জন এবং পাবনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভাগে প্রথম করোনা রোগী মারা যান গত বছরের ২৬ এপ্রিল। আর জুন মাসে ১৪০ জন করোনায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টার রাজশাহী বিভাগে ১৭৭ জন রোগী করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ৫৪৭ জন। বর্তমানে আট জেলার হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ হাজার ৫৪২ জন। এ ছাড়া ৫ হাজার ৯৮২ জন রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।