রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ–উপাচার্যের অপসারণের দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহান ও সহ–উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার অপসারণ দাবি করেছে তিনটি ছাত্রসংগঠন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আমতলায় ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবিরোধী ঐক্য’–এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চ এ দাবি জানায়।

সাত দিনের মধ্যে দাবি মানা না হলে লাগাতার ‘রাবি বাঁচাও আন্দোলন’-এর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া তাঁরা গণতান্ত্রিক উপায়ে উপাচার্য, সহ–উপাচার্য নির্বাচন করা, রাকসু ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেট পূর্ণাঙ্গ করে গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নির্মাণ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থানীয় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মহব্বত হোসেন বলেন, ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের জন্য উপাচার্য এম আবদুস সোবহান, সহ–উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও রেজিস্ট্রার এম এ বারীকে দায়ী করা হয়েছে। কিছুদিন আগে রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, উপাচার্যকে স্বপদে বহাল রেখে বিশ্ববিদ্যালয় সুচারুরূপে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও উপাচার্য, সহ-উপাচার্যকে অপসারণ করার কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের প্রশাসনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় আর এক দিনও চলতে পারে না। এত বড় অপরাধ করার পর তাঁদের শিক্ষকতা করারও কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তাই দ্রুত উপাচার্য ও সহ–উপাচার্যসহ দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। অপসারণ না করা পর্যন্ত সব ধরনের নিয়োগ স্থগিত করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মহব্বত হোসেন, সদস্য আজিজুল মানিক, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মুরশিদুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহসহ অন্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।