রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে । শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে তাঁরা এই প্রতিবাদ জানান।

কর্মসূচিতে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা বলেন, ‘লেখক মুশতাকের এই মৃত্যুর পুরো দায়ভার রাষ্ট্রের। প্রত্যেকটা লাশের হিসাবের জন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। জবাবদিহির বাইরে যেন কোনো লাশ না থাকে। আমরা এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মানছি না।’

প্রতিবাদী সমাবেশে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার, ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক মাহমুদ জামাল কাদেরী, নদী গবেষক ও লেখক মাহবুব সিদ্দিকী, শিক্ষার্থী আব্দুল মজিদ, আমানউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন।

গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এঁরাসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‌্যাব। সেই মামলায় দুজন জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হয়।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে মুশতাক ওই কারাগারে বন্দী ছিলেন।