রাজশাহী মেডিকেলে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় সংক্রমিত তিনজন আর এই ভাইরাসের উপসর্গে নিয়ে চারজন মারা যান। এ নিয়ে ২৩ থেকে ২৯ মে দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালে করোনায় আর উপসর্গে মারা গেলেন ৩৮ জন।

হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস আজ শনিবার দুপুরে বলেন, গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সাতজন মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) একজন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন ও কেবিনসহ করোনা ওয়ার্ডে বাকি চারজন চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনা ‘পজিটিভ’ হিসেবে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও একজন রাজশাহীর বাসিন্দা। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে সাইফুল ফেরদৌস বলেন, হাসপাতাল থেকে ওই চারজনের লাশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৩ মে দুপুর থেকে ২৯ মে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা সংক্রমিত ছিলেন ১৫ জন। অন্যরা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ মে ১০ জন, ২৫ মে ৪ জন, ২৬ মে ৪ জন, ২৭ মে ৪ জন এবং ২৮ মে ৯ জন মারা যান। এই সাত দিনে বিভাগের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় মৃতের হার বেশি বলে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

রাজশাহী মেডিকেলে প্রায় ২০০ ব্যক্তি করোনা ‘পজিটিভ’ হয়ে ও এই ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। এর আগে কখনো হাসপাতালটিতে একসঙ্গে এতসংখ্যক রোগী ভর্তি থাকেননি।

এদিকে রাজশাহী মেডিকেলে প্রায় ২০০ ব্যক্তি করোনা ‘পজিটিভ’ হয়ে ও এই ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। এর আগে কখনো হাসপাতালটিতে একসঙ্গে এতসংখ্যক রোগী ভর্তি থাকেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আজ দুপর ১২টা পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৯১ জন। এর মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬০ জন। এই ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে বাকি ১৩১ জনের। ভর্তি রোগীদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯৪ জন ও রাজশাহীর ৭২ জন। এর বাইরে নাটোরের ৯ জন, নওগাঁর ৬ জন, পাবনার ৪ জন, সিরাজগঞ্জের ২ জন, কুষ্টিয়ার ৪ জন রয়েছেন। আজ দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন মোট ১২ জন।

হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, গত বছর করোনার তীব্রতার সময়ে হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১৩৬ জন ভর্তি হয়েছিলেন। এ বছর ঈদের পর থেকে ক্রমাগত হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে বেশি চাপে পড়ছে।