রাজশাহীতে ফোরজি সেবায় গতি কম

দেশের চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যে এখনো তিনটি অপারেটরের চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) নির্ধারিত গতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছায়নি রাজশাহীতে। সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক পরীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বিটিআরসির পরীক্ষায় গ্রামীণফোন, রবি ও টেলিটকে ফোরজি সেবার নির্ধারিত ন্যূনতম ডাউনলোড গতি আসেনি।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান পরীক্ষায় ‘ড্রাইভ টেস্টে’ মোট ৩ হাজার ৪৯৮ নমুনা পরীক্ষা করে সংগ্রহ করে বিটিআরসি। গত ২৯ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের ৪৪টি উপজেলায় এ পরীক্ষা চালানো হয়। বুধবার বিটিআরসির ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরা হয়।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, রবির ইন্টারনেট ডাউনলোড গতি সেকেন্ডে ৬ দশমিক ২৮ মেগাবাইট ও গ্রামীণফোনের ৪ দশমিক ৪৫ মেগাবাইট। শুধুমাত্র বাংলালিংক ডাউনলোডের নির্ধারিত গতি নিশ্চিত করেছে, সেকেন্ডে ৭ দশমিক ০৫ মেগাবাইট।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের অবস্থা সবচেয়ে দুর্বল। ফোর-জি তে ২ দশমিক ৫৮ মেগাবাইট গতি দিতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। থ্রিজি সেবাও নিশ্চিত করতে পারেনি টেলিটক। বিটিআরসি নির্ধারিত থ্রিজির গতি সেকেন্ডে ২ মেগাবাইটের মধ্যে টেলিটকের পাওয়া গেছে সেকেন্ডে ১ দশমিক ৪৯ মেগাবাইট।

থ্রিজির ক্ষেত্রে বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গ্রামীণফোনের সেকেন্ডে ২ দশমিক ৮৭, রবির ২ দশমিক ৬৭ ও বাংলালিংকের ২ দশমিক ৪০ মেগাবাইট গতি পেয়েছে বিটিআরসি।

দেশে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক আনুষ্ঠানিকভাবে চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বা ফোরজি সেবা চালু করে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। পরে এ সেবা চালু করে টেলিটকও। বিটিআরসির নীতিমালা অনুসারে, ফোরজি সেবায় ডাউনলোড গতি হতে হবে প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ৭ মেগাবাইট।

গত নভেম্বরে প্রকাশিত বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৯২ লাখ। এদের মধ্যে ফোরজি গ্রাহক ৬ কোটি ৯১ লাখ, থ্রিজি গ্রাহক ৩ কোটি ৬২ লাখ।

এর মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক গত ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ছয়টি স্থানে ফাইভজি পরিষেবা চালু করে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, বাংলাদেশ সচিবালয়, সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২ এবং ঢাকার শেরেবাংলা নগরে চালু হয় সেবাটি।