রাজশাহীতে বিধিনিষেধ বাড়ল, বাইরে থাকছে আম পরিবহন

জরুরি সভা শেষে বিধিনিষেধের ঘোষণা দিচ্ছেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। আজ বুধবার বিকেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
ছবি: প্রথম আলো

চলমান লকডাউনে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক জরুরি সভা শেষে এই বিধিনিষেধের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।

ঘোষণা অনুযায়ী সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরদিন সকাল আটটা পর্যন্ত ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে জরুরি পরিষেবা, মৌসুমি ফল আম পরিবহন ও গণমাধ্যম বিধিনিষেধের বাইরে থাকছে।

বিধিনিষেধে বলা হয়, ওষুধ, খাদ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন/ সৎকারের মতো প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরের দিন সকাল আটটা পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা গ্রহণ করতে যাওয়া যাবে। খাবারের হোটেল থেকে খাবার বিক্রি করা যাবে, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই হোটেলে বসিয়ে ক্রেতাদের খাওয়ানো যাবে না। শপিং মল বন্ধ থাকবে, অনলাইনে পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনা করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে কর্মচারীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ক্রেতা সশরীরে শপিং মলে যেতে পারবেন না।

কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ক্রয়–বিক্রয় করা যাবে। স্থানীয় প্রশাসন বা বাজার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইন আমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও সমানসংখ্যক ব্যক্তি উপাসনা করতে পারবেন।

আমের আড়ত/ বাজার পৃথক জায়গায় ছড়িয়ে আড়তদারের মাধ্যমে ক্রয়–বিক্রয় করা যাবে। বাগান থেকে ট্রাকে করে পাঠানো যাবে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও আম পরিবহন করা যাবে। উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি সেবা যেমন কৃষি উপকরণ (সার, বিষ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস স্থলবন্দরের কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট (সরকারি/ বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসহ, তাদের কর্মচারী, যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।