রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার

রাজশাহীর কাটাখালী থানার সামনে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আগুন ধরে যায় এই মাইক্রোবাসে, পাশে থাকা লেগুনাটিও পুড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় মোট ১৭ জন নিহত হয়েছেন
ফাইল ছবি

রাজশাহীর কাটাখালীতে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের পর আগুনে পুড়ে ১৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজশাহী নগরের বেলপুকুর থানার মাহিন্দ্র বাইপাস এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম মো. আবদুর রহিম (৩৫)। তিনি পুঠিয়া উপজেলার বাড়ইপাড়া এলাকার মো. ফজলুল হকের ছেলে। তিনি কেটিসি হানিফ পরিবহনের বাসচালক।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ওই ঘটনার পর শুক্রবার রাতে কেটিসি হানিফ বাসের চালককে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন কাটাখালী থানার উপপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ। বাসচালক পলাতক ছিলেন। শনিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীর কাটাখালী থানার সামনে রাজশাহী-নাটোর সড়কে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে আগুন ধরে যায়। নিমেষেই আগুনে পুড়ে মারা যান মাইক্রোবাসে থাকা ১৮ যাত্রীর মধ্যে ১৭ জন। পাভেল (১৮) নামের একমাত্র যাত্রী বেঁচে আছেন। তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। নিহত যাত্রীরা রংপুর থেকে রাজশাহীতে বেড়াতে এসেছিলেন। আজ শনিবার তাঁদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, নিহত ১৭ জনের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। এর মধ্যে চৈত্রকোল ইউনিয়নের বড়রাজাপুর গ্রামের একই পরিবারের পাঁচজন, রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় মহাজিদপুর গ্রামের একই পরিবারের পাঁচজন, রায়পুর ইউনিয়নের দাড়িকাপাড়া গ্রামের একই পরিবারের তিনজন, পৌর এলাকার প্রজাপাড়ার একই পরিবারের তিনজন ও দুরামিঠিপুর গ্রামের একজন রয়েছেন।