‘রাজাকার’ বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান কোটালীপাড়া উপজেলার রতাল গ্রামের মো. আলী আজগর। আজ রতাল বাজার এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এক ব্যক্তিকে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বেলা ১১টায় সিকির বাজার এলাকায় রতাল শফিজদ্দিন মাদ্রাসায় পরিবারের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রতাল গ্রামের মো. আলী আজগর লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। তাঁর বাবা আবদুল কাদের মিয়াকে ‘রাজাকার’আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

লিখিত বক্তব্যে আলী আজগর বলেন, ‘ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বাবাকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে গত ২৭ আগস্ট ফেসবুকে পোস্ট দেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ ঘটনায় আমরা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সুমন, কোটালীপাড়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. জামির, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কোটালীপাড়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) চৌধুরী ছোটনসহ ১২ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১ সেপ্টেম্বর মামলা করেছি।’

আমার বাবা আবদুল কাদের মিয়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এ কারণে সিকির বাজারে আমাদের চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রাজাকারেরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
মো. আলী আজগর, রতাল গ্রামের বাসিন্দা

আজগর আরও বলেন, ‘আমার বাবা আবদুল কাদের মিয়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এ কারণে সিকির বাজারে আমাদের চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রাজাকারেরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আমাদের অধিকাংশ আত্মীয়স্বজন মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার ভাই মো. শওকত আলী বর্তমানে সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব)। ছাত্রজীবনে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। আমরা বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, সাবেক পৌর মেয়র এইচ এম অহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নারায়ণ চন্দ্র দাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল হাজরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী ছোটন বলেন, ‘২০০৯ সালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মুজিবুল হক ও সহকারী কমান্ডার লুৎফর রহমানে শেখের সই করা রাজাকার ও দালালদের একটি তালিকা আমাদের কাছে আছে। সেই তালিকায় আবদুল কাদের মিয়ার নাম রয়েছে। এলাকার মুরব্বিরাও বলেন তিনি রাজাকার ছিলেন। সে জন্য আমরা স্ট্যাটাস দিয়েছি।’