রাতে চা পান করতে বেরিয়ে নিখোঁজ তরুণ, সকালে পুকুরে মিলল লাশ

লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরায় এক তরুণকে গলায় ডিশ লাইনের তার পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আট ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার সকাল আটটার দিকে পুলিশ সাতক্ষীরা সদরের বকচরা গ্রামের আফছার আলীর পুকুর থেকে ওই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত তরুণের নাম আলমগীর হোসেন (২২)। তিনি সাতক্ষীরা সদরের বকচরা পশ্চিমপাড়ার মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। আলমগীর পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন।

নিহত আলমগীরের মা বকচরা গ্রামের সুফিয়া খাতুন জানান, তাঁর ছেলে বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে পার্শ্ববর্তী আছিয়ার দোকানে চা খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাত বেশি হওয়ায় ও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তিনিসহ স্বজনেরা আলমগীরকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে একই গ্রামের আফছার আলী তাঁর পুকুরে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে সুফিয়া পুকুরপাড়ে পড়ে থাকা জুতা দেখে লাশটি তাঁর ছেলে আলমগীরের বলে শনাক্ত করেন। নিহতের গলায় ও মুখের মধ্যে ডিশ লাইনের তার প্যাঁচানো ছিল। তাঁকে তার দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতের বড় ভাই মহিবুল্লাহ কুমিল্লায় পরিবহনশ্রমিক হিসেবে কর্মরত। মুঠোফোনে তিনি বলেন, তাঁর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বালিয়াডাঙা গ্রামের এক গৃহবধূর পরকীয়া ছিল। এ নিয়ে বিরোধও হয়েছে কয়েকবার। ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়ার জেরে তাঁর ভাইকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিনহাজউদ্দিন বলেন, শুক্রবার সকাল আটটার দিকে আলমগীরের লাশ বকচরা গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডিশ লাইনের তার গলায় পেঁচিয়ে মুখের সঙ্গে বেঁধে আলমগীরকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানার চেষ্টা চলছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।