রাতে সভাপতি পদে নাম ঘোষণা, পরদিন স্থগিত

সভাপতি পদটি আপাতত স্থগিত থাকবে। কমিটি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সিলেট জেলার মানচিত্র

সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয় গত সোমবার রাতে। কিন্তু পরদিন দুপুরেই উপজেলা আওয়ামী লীগ বলেছে, সভাপতি পদটি আপাতত স্থগিত থাকবে। কমিটি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর গোলাপগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সমঝোতার মাধ্যমে সভাপতি পদে আমিনুল ইসলাম এবং কাউন্সিলরদের ভোটে রুহেল আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁদের মধ্যে আমিনুল গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। বঞ্চিত হয়ে তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এ

কারণে তাঁকে গত ১৮ জানুয়ারি বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তী সময়ে ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে জিতে আমিনুল মেয়র হন। কিন্তু দল তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেনি।

এ অবস্থায় সোমবার রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পৌর কমিটি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা কমিটির সভাপতি ইকবাল আহমদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদের সই রয়েছে। এতে জানানো হয়, পুনর্গঠিত কমিটিতে আরিফ চৌধুরীকে সভাপতি করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত রুহেল আহমেদই। এই কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে পৌরসভার ওয়ার্ড কমিটিগুলো গঠন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

কিন্তু এই সিদ্ধান্তে বদলের বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে গণমাধ্যমকে জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ। তিনি বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের পুনর্গঠিত কমিটিতে সভাপতি পদটি আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

হঠাৎ করেই কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত দিয়ে আবার তা বদলে ফেলার কারণ স্পষ্ট করেনি উপজেলা আওয়ামী লীগ। তবে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ বলছে, কমিটি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াটি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, সোমবার রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ যে প্রক্রিয়ায় পৌর কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হয়নি। এ কারণে উপজেলা কমিটিকে পৌর কমিটির সভাপতির পদটি স্থগিত রাখতে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। তবে সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী সময়ে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার পর সভাপতি পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।