রানীনগরের আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২৩

নওগাঁ জেলার মানচিত্র

নওগাঁর রানীনগরে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার গোনা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচারণকালে প্রেমতলী বাজারে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গোনা ইউপি নির্বাচনের ভোট হবে দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর। ওই ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল খালেক। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আবদুল আরিফ। তিনি ঘোড়া প্রতীকে লড়ছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে তাঁর নারী কর্মীরা ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম হিন্দুপাড়ায় ভোট চাইতে গেলে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা তাঁদের বাধা প্রদান করে ফিরিয়ে দেন। খবর পেয়ে তিনি তাঁর কর্মীদের নিয়ে প্রেমতলী বাজারে পৌঁছালে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা তাঁদের ওপর রড, হাঁসুয়া ও লাঠি নিয়ে হামলা চালান। হামলায় তিনি নিজেসহ ১৪-১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আটজন রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ফজলে রাব্বির অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁর হাত ও পা ভেঙে গেছে।

গোনা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল খালেক। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আবদুল আরিফ। তিনি ঘোড়া প্রতীকে লড়ছেন।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী আবদুল খালেক বলেন, ‘আমার কর্মীরা প্রেমতলী বাজারে নির্বাচনী প্রচারে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল আরিফ ও তাঁর ৬০-৭০ জন কর্মী আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে আমার কর্মী জুয়েল রানাসহ সাত-আটজন আহত হয়েছেন।’

রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় কোনো পক্ষ এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।