রামগঞ্জে শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে পুত্রবধূ গেপ্তার

প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ইছাপুর ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শাশুড়ির নাম রেহানা বেগম (৬০)। তিনি রামগঞ্জ উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী। এ ঘটনায় এই দম্পতির ছেলে হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে (২৫) বুধবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর শ্বশুর আজ বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

এ নিয়ে গত চার দিনে রামগঞ্জে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটল। এর আগে রোববার এক প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই যুবককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেন।

পুলিশ বলছে, কয়েক বছর আগে আবু তাহেরের ছেলে হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি রেহানা বেগমের সঙ্গে তাহমিনা আক্তারের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বুধবার রাতে শাশুড়ি ও পুত্রবধূর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটিও হয়। এরপর নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন শাশুড়ি। এ সময় ঘরে আর কেউ ছিল না। পরে তাহমিনা তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন।

ঘটনার পর চিৎকার দিয়ে তাহমিনা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করে। একই সময় তারা শাশুড়ির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ সকালে শাশুড়ির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) স্পিনা রানী প্রামাণিক।

এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে শাশুড়িকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুত্রবধূ তাহমিনা তাঁর শাশুড়ি রেহানা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।