রামগতিতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, উত্তেজনা

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ভাঙচুর হওয়া একটি নির্বাচনী কার্যালয়। বুধবার উপজেলার বিবিরহাট বাজারে
ছবি: প্রথম আলো

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দুই দফা হামলা-সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পাঁচটি দোকান ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরেও দুই পক্ষ মহড়া দিয়েছে। দুপক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বাজার এলাকায় অস্থান করছে।

২১ জুন উপজেলার চর রমিজ ইউপির নির্বাচন। এতে আওয়ামী লীগ–মনোনীত প্রার্থী মুজাহিদুল ইসলাম দিদারের বিপক্ষে প্রবাসফেরত শারাফত আলী ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চররমিজ ইউনিয়নের বিবিরহাট বাজারে গতকাল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিবিরহাটে সাড়ে নয়টার দিকে শারাফত আলীর (আনারস) একটি মিছিল থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুজাহিদুলের (নৌকা) বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ মুজাহিদুলের লোকজন তাঁদের ধাওয়া করেন। খবর পেয়ে দুপক্ষের নেতা-কর্মীরা বাজারে আসতে শুরু করেন। উত্তেজিত লোকজন দুই দফায় হামলা-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

শারাফত আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রার্থী দলবল নিয়ে এসে আমার লোকজনকে মারধর করে। পরে আমার নির্বাচনী অফিস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেছে।’

তবে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শারাফতের লোকজন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আমার বিরুদ্ধে মিছিল করে। তাঁরা অতর্কিত হামলায় আমার অন্তত সাতজন আহত হয়। আমাদের চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও আরও দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে।’

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক আছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।