রামুতে তিনজনকে অপহরণের পর মুঠোফোনে হত্যার হুমকি

অপহরণ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের রামুর উখিয়ারঘোনা-গর্জনিয়া সড়কের সওদাগরপাড়া থেকে তিনজনকে অপহরণ করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে দুজন কৃষক ও একজন পথচলতি মোটরসাইকেলচালক। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে অপহরণের এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বোমাংখিল গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ কামাল (২২), পার্শ্ববর্তী কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের সওদাগরপাড়ার বাসিন্দা ছৈয়দ নূর (৫৫) ও মাহমুদুর রহমান বাবুল (৩০)। এর মধ্যে কামাল মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় অপহৃত হন। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অস্ত্রধারীরা ওই দুই কৃষক ও মোটরসাইকেল আরোহীকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ওই জঙ্গলে জড়ো হতে থাকেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, রাত আটটার দিকে স্থানীয় রামু পুলিশের সহযোগিতায় গর্জনিয়া ইউপি সদস্য মুফিজুর রহমান ও বিট পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলের আশপাশের পাহাড়-জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করেন। কিন্তু ভোর পর্যন্ত অপহৃত ব্যক্তিদের সন্ধান মেলেনি।

রাত আটটার দিকে শতাধিক লোকজন অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলের আশপাশের পাহাড়-জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করেন। কিন্তু ভোর পর্যন্ত অপহৃত ব্যক্তিদের সন্ধান মেলেনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামু থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান বেলা আড়াইটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ উদ্ধার তৎপরতায় নেমেছে। অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে পুলিশ বুধবার সকাল থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু তখনো পর্যন্ত অপহৃত ব্যক্তিদের সন্ধান মেলেনি। সন্ত্রাসীদের মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়টি পুলিশের জানা নেই।

অপহৃত পরিবারের বরাত দিয়ে গর্জনিয়া ইউনিয়ন বিট পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, অপহরণের পর সারা রাত কোনো খবর পাওয়া না গেলেও আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক মো. কামালের মুঠোফোন থেকে অস্ত্রধারীরা পরিবারের কাছে কামালকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর মুঠোফোনটি বন্ধ রাখা হয়। একই সময় কৃষক ছৈয়দ নুরের মুঠোফোন থেকে তাঁর পরিবারের কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। মুক্তিপণ দেওয়া না হলে অপহৃত ব্যক্তিদের হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। এ খবর পুলিশ কিংবা সাংবাদিকদের জানালে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর থেকে ওই মুঠোফোন দুটি বন্ধ করায় পরিবারের সদস্যরা অস্ত্রধারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। আরেকটি পরিবারে এখনো কোনো ফোন আসেনি। এ নিয়ে অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন।