রামেক হাসপাতালে সেবাগ্রহীতাকে মারধর, দুই আনসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ফাইল ছবি

মারধরের অভিযোগ এনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক রোগীর স্বজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে নগরের রাজপাড়া থানায় এ অভিযোগ দেন তিনি।

অভিযোগকারী ব্যক্তি নগরের চন্দ্রিমা থানার মেহেরচণ্ডী দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। তাঁর ৯ মাস বয়সী সন্তান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত দুই আনসার সদস্য হলেন সবুজ (৩২) ও নুর আলম।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি ডায়রিয়া ও ঠান্ডার কারণে ৯ মাসের শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করান বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই শিশুর জন্য মামুন প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে হাসপাতালে প্রবেশ করতে গেলে তিনি আনসার সদস্যদের বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় তাঁর কাছে প্রবেশ কার্ড ছিল না। তিনি আনসার সদস্যের কাছে বলেন, তাড়াহুড়োর জন্য ভুলে প্রবেশ পাস কার্ড রেখে এসেছেন। তবে প্রবেশ কার্ড ছাড়া আনসার সদস্য তাঁকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না। তখন একটু জোর করলে তাঁরা তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করলে হাতের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন সবুজ, নুর আলমসহ কয়েকজন। এ ঘটনা হাসপাতালের পরিচালককে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে তাঁর অভিযোগ।

আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি এ কারণে ওই দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে প্রবেশের একটি পাস কার্ড রয়েছে। ওই কার্ড না দেখালে হাসপাতালে প্রবেশের নিয়ম নেই। কিন্তু ওই দিন হয়তো তাঁর কাছে কার্ডটা ছিল না। এ কারণে জেরা করেছিলেন আনসার সদস্যরা। পরে একপর্যায়ে হয়তো তাঁদের মধ্যে কিছু একটা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সবুজ ও নুর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও বলেন, আনসার সদস্যরাও অনেক সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা ভুলে যান যে তাঁরা মানুষের সেবা দিচ্ছেন। তাঁদের বারবার বলা হয়েছে, কারও গায়ে যেন তাঁরা হাত না তোলেন। কারও সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথা না বলেন। কিন্তু তাঁরা এটা মানছেন না। আবার রোগীর স্বজনেরাও নিয়ম মেনে পাস কার্ড নেন না। কার্ডটা দেখালেই আর কোনো সমস্যা হয় না। তবে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, থানায় একটি অভিযোগ এসেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে। তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।