রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালুর দাবিতে খুলনা ডিসি অফিস ঘেরাও

১৪ দফা দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ‘পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ’ নামে একটি সংগঠনপ্রথম আলো

সম্প্রতি বন্ধঘোষিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকল পুনরায় চালু, পাটকলগুলো আধুনিকায়ন, শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা এককালীন পরিশোধসহ ১৪ দফা দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ‘পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতারা।

আরও পড়ুন

ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা বলেন, বিজিএমসির (বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন) দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে পাটকলে লোকসান হয়েছে। লুটপাটের জন্যই পাটকল ও পাটশিল্প আজ ধ্বংসের পথে। অথচ বিজিএমসির দুর্নীতি ও লুটপাটের ফলে সৃষ্ট লোকসানের দায় সাধারণ পাটকলশ্রমিকদের ওপর চাপাচ্ছে সরকার। দুর্নীতিবাজদের অন্যায় শাস্তির ফল ভোগ করছেন শ্রমিকেরা।

বক্তারা আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পাটকল বন্ধ করে দেওয়ায় অনেক শ্রমিককে বাধ্য হয়ে পেশা পাল্টাতে হয়েছে। শ্রমিকদের কেউ কেউ সহজ পেশা হিসেবে রিকশা চালাচ্ছেন। কেউবা ফল বিক্রেতা কিংবা নির্মাণশ্রমিকের কাজেও নেমেছেন। আর এখনো কাজ জোগাড় করতে না পেরে বেকার জীবন পার করছেন অনেক শ্রমিক। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো পুনরায় সরকারি ব্যবস্থায় চালু করার দাবি করেন বক্তারা।

আরও পড়ুন
জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয় ‘পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ’ নামের সংগঠনটি

ওই ঘেরাও কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ও নাগরিক নেতা কুদরত-ই-খুদা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আ ফ ম মহসিন, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য মুনীর চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা জেলা সভাপতি মনোজ দাশ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর, সিপিবি খুলনা মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎ, সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদার, নারীনেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ, সিপিবির নেতা মিজানুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন