রায় শুনে গোপাল কৃষ্ণের স্ত্রী বললেন, ‘আমার কিছু বলার নেই’

উমা মুহুরী
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায় নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তাঁর স্ত্রী উমা মুহুরী। তবে তিনি হতাশার সুরে বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই।’

গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির সাজা সংশোধন করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ভার্চ্যুয়াল আপিল বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন।

তিন আসামি হলেন—আলমগীর কবির, তসলিম উদ্দিন মন্টু ও আজম।

গোপাল কৃষ্ণ
ছবি: সংগৃহীত

গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর স্ত্রী উমা মুহুরী আজ সকালে নিজ বাসায় ছিলেন। রায়ের পর তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল ছিল। এখন আপিল বিভাগ আসামিদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। আমার বলার কিছু নেই।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উমা মুহুরী বলেন, ‘যাঁর এ রকম হয়েছে, যাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাঁরাই কেবল জানেন কষ্ট কী!’

২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামের জামাল খান রোডে অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর বাসায় ঢুকে তাঁকে হত্যা করে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী উমা মুহুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন

২০০৩ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। একই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে অপর চারজন খালাস পান।

ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০০৬ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এক আসামির আপিল ও দুই আসামির জেল আপিলের ওপর গত ২৯ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হয়। আজ রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

আরও পড়ুন