রায়পুর পৌর নির্বাচনে কেন্দ্রে দেখা নেই বিএনপির এজেন্টদের

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ভিড়
ছবি: প্রথম আলো

উৎসবমুখর পরিবেশে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে সকাল ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্রে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর দেখা মেলেনি। চারটি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা পাওয়া যায়নি বিএনপির মেয়র প্রার্থীর কোনো এজেন্টকে।

রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে আছে উত্তেজনা ও শঙ্কা। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী এ বি এম জিলানী দাবি, সকাল ১০টি পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। হুমকি-ধমকির কারণে নেতা-কর্মীরা কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন। ভোটকেন্দ্রে একক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের লোকজন।

সকাল ৯টায় পৌরসভার ৪ ওয়ার্ডের ৩ কেন্দ্রে ৮ জন পোলিং এজেন্টকে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে বিএনপির প্রার্থীর কোনো এজেন্ট নেই। কেন্দ্রের বাইরে খোঁজ নিয়ে দেখা মেলেনি বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, ভোট শুরুর পর বিএনপির প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন। এরপর তাঁরা না বলে কোথায় যেন চলে গেছেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রায়পুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বুথের ভেতর তৎপর রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ওই কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী গিয়াস উদ্দীন রুভেল ভাট বলেন, বিএনপির কোনো এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়নি। নিশ্চিত পরাজয় জেনে তাঁরা চলে গেছেন।

নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো বলে জানান লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন। বলেন, খারাপ কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি। বিএনপির এজেন্ট বের করে দেওয়ার কোনো অভিযোগ আসেনি।

মেয়র পদে জামায়াতে ইসলামী–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনির আহমেদ মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল খালেক হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে আছেন। তবে তাঁদের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।