রায়পুরায় সংঘর্ষে আরও এক তরুণ নিহত

হত্যা
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আরও এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে রায়পুরার চরাঞ্চল পাড়াতলি ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামে চলমান সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পাড়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ওই তরুণের মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত ব্যক্তির নাম শহিদ মিয়া (৩০)। তিনি রায়পুরার চরাঞ্চল পাড়াতলি ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামের আশাব উদ্দিনের ছেলে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইয়াসিন মিয়া (১৩) নামের এক কিশোর নিহত হয়। নিহত ইয়াসিন মিয়া কাচারিকান্দি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলছেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাড়াতলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহ আলমের সঙ্গে সাবেক সদস্য ফজলুল হকের ছেলে শাহ আলমের বিরোধ চলছে। এর জেরে গতকাল সন্ধ্যা থেকে দুই পক্ষের সমর্থকেরা টেঁটা, বল্লম ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আজ সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। এতে গুলিবিদ্ধ কয়েকজনসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের শুরুর দিকে ইয়াসিন মিয়া নামের এক কিশোরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাতভর এ সংঘর্ষ চলেছে। আজ ভোরের দিকে টেঁটাবিদ্ধ হন জহির মিয়া নামের ওই তরুণ। তাঁকেও উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, পাড়াতলি ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র, টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। গতকাল সন্ধ্যা থেকে চলমান এ সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নরসিংদী শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, গতকাল সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর পর আজ ভোরে আরও একজন তরুণ টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসবে।