‘রিকশা চালাতে না পারলে খাব কী’

লকডাউনে যানবাহনের চলাচল ঠেকাতে পুলিশ মহাসড়কগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায়।
ছবি: মাসুদ রানা

গাজীপুরে কঠোরভাবে চলছে লকডাউন। গাজীপুরে মহাসড়কের ১৩টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট। প্রতিটি চেকপোস্ট থেকে লকডাউনের আওতামুক্ত পরিবহন ছাড়া অন্য কোনো পরিবহন অতিক্রম করতে পারছে না। এতে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের প্রতিটি চেকপোস্টে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। বাজারগুলোয় দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের জরিমানা করা হচ্ছে।

আসাদুজ্জামান নামের একজন বলেন, তিনি কাজ করেন গাজীপুর মৌচাকের একটি তৈরি পোশাক কারখানায়। তাঁর গাড়ি কোনাবাড়ী চেকপোস্টে আটকে দেওয়া হয়েছে। এখন গাড়ি রেখে তিনি হেঁটে অফিসের দিকে রওনা হয়েছেন।

এদিকে গতকাল বুধবার গাজীপুরের ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১১২টি মামলা দেন এবং ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। আদালতের কার্যক্রম আজকেও চলছে।

রিকশাচালক খাইরুল ইসলাম বলেন, আগে লকডাউনে রিকশা চালাতে পারতেন। কিন্তু এখন রিকশা চালাতে গেলে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘রিকশা চালাতে না পারলে খাব কী? পেটের দায়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি, কিন্তু পুলিশ চলাচল করতে দিচ্ছে না।’

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, লকডাউন উপেক্ষা করে মানুষ চলাচলের চেষ্টা করছে। কোনো রকম অনুমোদন ছাড়া যেসব গাড়ি যাতায়াতের চেষ্টা করছে, তাদের ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সালনা–কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে অনুমোদিত যানবাহন ছাড়া কোনো ধরনের গাড়ি ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে।