রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তি দিলেন প্রধান আসামি হোসেন আলী

প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় এক যুবককে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত হোসেন আলী ওরফে আবুল হোসেন (৪৫) ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ শনিবার বিকেলে হোসেন আলীকে লালমনিরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফাজ উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

হোসেন আলীকে ৭ নভেম্বর রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ৯ নভেম্বর তাঁকে লালমনিরহাটের আমলি আদালত-৩–এ হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের এসআই মাহমুদুন্নবী। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে এই মামলায় শনিবার দুপুরে এজাহারভুক্ত আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম হেলাল উদ্দিন (৩২)। তিনি পাটগ্রামের বুড়িমারীর উফারমারা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। লালমনিরহাটের ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে হোসেন আলীকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় বুড়িমারী মসজিদে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে রংপুর নগরের শালবন এলাকার আবু ইউনুছ মোহাম্মদ শহীদুন্নবীকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ৩০ অক্টোবর তাঁর চাচাতো ভাই সাইফুল আলম হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া একই ঘটনায় পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত আরও দুটি মামলা করেন।

লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, শুরু থেকে শনিবার পর্যন্ত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১১ জনসহ মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মামলার ১ নম্বর আসামি হোসেন আলী, বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খাদেম জুবেদ আলীসহ চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ২৯ অক্টোবরের অপরাধ ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কেউ রেহাই পাবে না। ভিডিও চিত্র দেখে ও গ্রেপ্তার আসামিসহ অন্যান্য সূত্র ধরে অপরাধীদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।