রূপপুরে বেলারুশের সেই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত নন

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের নির্মাণকাজে নিয়োজিত একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেলারুশ নাগরিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। তাঁর অসুস্থতার কারণ ভিন্ন।

আজ শনিবার রোসাটমের দক্ষিণ এশিয়া কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিটি বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রিউন গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে।

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণে রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রাশিয়ান স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের (রোসাটম) সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টকে কেন্দ্র নির্মাণের ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে রাশিয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিদেশ থেকে এসেছেন, এমন ব্যক্তিদের প্রকল্প এলাকায় প্রবেশের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে রূপপুর প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। বিদেশফেরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১৪ দিনের কোরান্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রকল্পের রুশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে এবং গ্রিনসিটি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিশেষ বাসে কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করছেন। অত্যাবশ্যক কাজের সঙ্গে জড়িত নয়, এমন বাংলাদেশিদের বাড়িতে অবস্থানের জন্য বলা হয়েছে।


বিবৃতিতে বলা হয়, প্রকল্প এলাকায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের প্রত্যেকর শরীরের তাপমাত্রা যন্ত্রের মাধ্যমে মাপা হচ্ছে। প্রকল্পে কর্মরত প্রত্যেককে মাস্ক দেওয়া হয়েছে এবং সব স্থানে পরিচালিত হচ্ছে জীবাণুনাশক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। বিশেষ ক্ষেত্রে নির্মাণসামগ্রী নিয়ন্ত্রণ করছেন চিকিৎসকেরা।

প্রসঙ্গত, ২৬ মার্চ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা সদরে রাশিয়ার নাগরিকসহ বিদেশিদের একটি ভাড়া বাড়ি লকডাউন (বদ্ধাবস্থা) ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। বাড়িটিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে কর্মরত ২২ জন বিদেশি ভাড়া থাকেন। এ ঘটনার সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব রায়হান।

প্রথম আলোকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, ওই বাড়িতে থাকা বেলারুশের এক নাগরিকের (৩৭) গলাব্যথা, জ্বর ও কাশি ছিল। তবে এর আগে তাঁর গলায় একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। এ কারণেও গলাব্যথা হতে পারে। প্রকল্পে কর্মরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বেলারুশের এই নাগরিক সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ঈশ্বরদীতে এসেছেন। দেশে ফেরার জন্য কয়েক দিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু দেশে না ফিরতে পেরে আবার ঈশ্বরদীতে চলে আসেন।