রেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবু তাহেরের অপসারণের দাবিতে কর্মকর্তা ও কমর্চারীদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবিটি আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় তোলা।
ছবি: এম সাদেক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের পদ থেকে অধ্যাপক মো. আবু তাহেরের অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী। আজ রোববার সকাল থেকেই প্রশাসনিক ভবনে রেজিস্ট্রারের দপ্তরের সামনে অবস্থান করছেন তাঁরা। এর আগে গত বুধবার বিকেলে প্রায় তিন ঘণ্টা রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন তাঁরা। এরপর থেকে ওই কক্ষে তালা ঝুলছে।

আন্দোলনকারী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি বর্তমান উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী যোগ দেন। এরপর ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেন তিনি। একই পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তত্কালীন সহযোগী অধ্যাপক (বর্তমানে অধ্যাপক) মো. আবু তাহেরকে। এতে অসন্তুষ্ট হন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। এমরান কবির চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম আবদুল মঈনকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর গত বুধবার রেজিস্ট্রার আবু তাহেরের অপসারণের দাবিতে তাঁকে নিজ দপ্তরে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সন্ধ্যা সাতটার পর রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বের হলে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী, সহ–উপাচার্য মো. হুমায়ুন কবির ঢাকায় অবস্থান করছেন। কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামানও ক্যাম্পাসে নেই। রেজিস্ট্রার মো. আবু তাহের গত বুধবার থেকে তাঁর দপ্তরে যাননি।
মো. আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাবিদাওয়া পূরণ করবেন উপাচার্য। আমি তো দাবি পূরণ করতে পারব না। উনারা আন্দোলন করে আমাকে দপ্তরে ঢুকতে দিচ্ছেন না।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে কর্মকর্তারা আন্দোলন করছেন। তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দীপক মজুমদার বলেন, ‘আমাদের দাবি তো বাস্তবায়ন করা হয়নি। উল্টো অশোভন আচরণ করা হতো। তাই রেজিস্ট্রারের অপসারণ চাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।’