রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির দায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীকে স্থায়ী বরখাস্ত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ প্রকল্পে দুর্নীতির দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘুষের বিনিময়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরি দেওয়ার ঘটনায় একজন সেকশন অফিসার, একজন কম্পিউটার অপারেটরসহ দুজনকে সাময়িক এবং অন্য একজন কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিসে গত রোববার ৭৭তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উপাচার্যের একান্ত সচিব আমিনুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের দরপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রে অনিয়মের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা লেনদেনের ঘটনায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাশ ও বঙ্গবন্ধু হলের কম্পিউটার অপারেটর শেরে জামান সম্রাটকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় মাস্টাররোল কর্মচারী গুলশান আহমেদ শাওনকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জাল নিয়োগপত্র দেখিয়ে এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে ১৩ লাখ টাকা লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। ভিডিওতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাশ, বঙ্গবন্ধু হলের কম্পিউটার অপারেটর শেরে জামান সম্রাট এবং মাস্টাররোল কর্মচারী গুলশান আহমেদ শাওনকে দেখা যায় টাকা লেনদেনের ঘটনায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সহকারী প্রক্টর ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ-উল-হাসানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে বরখাস্তের সুপারিশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান চারজনকে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।